https://www.somoyerdarpan.com/
1609
bangladesh
 
প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০০
 
                                                    খামারপাড়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম, কাজী আবুল হাসান ইমামতিতে ইসতিসকার দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ইমাম কাজী আবুল হাসান বলেন,
“অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরুপায়। তাই এ তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় আকাশের নিচে এই ঈদগাহ মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে”।
নামাজের আয়োজক মোল্যা মিজানুর রহমান বলেন,
“১০ থেকে ১৫ দিন মাগুরায় তীব্র তাপদাহ বইছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষজন। এ ছাড়াও আম লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি উঠছে না। এই মুহূর্তে বৃষ্টির পানির ভীষণ প্রয়োজন। তাই বৃষ্টির পানি চেয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে”।
এদিকে, জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বৃষ্টির পানি চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে সাহায্য চেয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মুনাজাত করেন তিন শতাধিক মানুষ। জেলা শহরের নামোশংকরবাটি ভবনীপুর এলাকার তালিমুল কোরআন মডেল মাদরাসার আয়োজনে জড়ো হয়ে নামাজটি আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
ইসতিসকার নামাজের ইমামতি করেন হামিদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন,
“বৃষ্টির জন্য পরপর তিনবার এই সুন্নত নামাজ আদায় করার নিয়ম রয়েছে। যখন অনাবৃষ্টি হতো তখন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। অতিরিক্ত পাপের কারনে এমন অনাবৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে পবিত্র হাদিসে। তবে ইনশাআল্লাহ, মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকল গোনাহ মাফ করে শীঘ্রই রহমতের বৃষ্টি দিয়ে মানবজাতিকে রক্ষা করবেন”।