https://www.somoyerdarpan.com/
1582
bangladesh
প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৪৭
রোববার (২১ এপ্রিল) বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন,
“আমেরিকার বাজারকে সব সময় শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজারে দাবি করা হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার আমেরিকা। এর মধ্যে গার্মেন্টেস পণ্যের বাইরে অন্যান্য পণ্যগুলো যাতে রফতানি করা যায়, তাই রপ্তানি বহুমুখীকরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যেমন চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস ও ঔষধ ইত্যাদি”।
তিনি আরও বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের ডিএফসি বলে একটা বড় তহবিল আছে। সেখান থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য সহযোগিতা পাওয়া যায়। সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। যখন আমরা শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত সুবিধা চাই, ডিএফসি তহবিলের অংশীদারীত্ব চাই, তখন তাদের দিক থেকে বলা হয়, আমাদের শ্রম অধিকার আরও উন্নত করতে হবে। আমাদের কিছু আইনের উন্নয়ন হয়েছে। তবে বাস্তবায়ন আরও ভালো করতে হবে”।
তথ্যপ্রযুক্তিতে তাদের হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,
“টেকনোলজি ট্রান্সফারের বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আইন অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে উন্নত দেশগুলো। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ আইনের একটা খসড়া করা হয়েছে। সেখানে তারা বিভিন্ন সময়ে মতামত দিয়েছে, সে বিষয়ে তারা সন্তুষ্ট। তবে এই আইনসহ অন্য যে সব আইন, যেমন কপিরাইট, প্যাটেন্ট আইন এসব আইনের বাংলা তারা পায়। সেজন্য আইন প্রণয়নের সময় তারা ইংরেজি সংস্করণ করতে বলেছে”।
বৈঠকে কৃষিখাতে সহযোহিতার কথা আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,
“কৃষিখাত নিয়ে একটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেটা হলো আমাদের পণ্য রফতানি করতে গেলে যে সার্টিফিকেশন লাগে, সে বিষয়ে আরও সহযোগিতা করতে চায়। এগুলোই মোটামুটি আমাদের আলোচনার এজেন্ডা ছিল। দুই পক্ষই জোরালোভাবে দাবি তুলে ধরেছে”।
তাদের সহযোগিতা পেতে শ্রম আইন আরো উন্নত করা দাবি করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন,
“আমরা যে আইনটা করতে যাচ্ছি, সেখানে আরও কয়েকটি বিষয় পুনর্গঠন করতে হবে। এখন আইনে আছে, অন্তত ২০ ভাগ শ্রমিকের সম্মতিতে একটি ট্রেড ইউনিয়ন হতে পারে। সেটাকে আরও কমাতে বলেছেন তারা। শ্রমে আইনে অপরাধ করলে মালিকদের বিরুদ্ধে যে শাস্তির বিধান বা জরিমানা আছে, সেটাকে আরও বৃদ্ধি করতে হবে এবং কোনো ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন হয়ে যাওয়ার পর তাদের সদস্য সংখ্যা ২০ শতাংশের নিচে হলেও তা বাতিল করা যাবে না। এরকম ১১ দফার একটি দাবি তারা তুলে ধরেছে”।