https://www.somoyerdarpan.com/
1536
bangladesh
প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৭
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আলু আমদানি। কিন্তু আমদানির কোনো প্রভাব নেই আলুর দামে। ভারতীয় আলু যেখানে কেজিতে বেড়েছে ৮ টাকা করে সেখানে দেশীয় আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা করে।
মঙ্গলবার সেই আলু ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দিকে ঈদের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশীয় পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। দেশী রসুন আগে ছিল ৮০ টাকা কেজি দরে, এখন কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। আমদানি করা চায়না আদা আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা কেজি দরে, এখন কেজিতে তা ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা দরে। এতদিন দেশীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১৫ টাকা বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এমন পরিস্থিতিতে বিক্রেতারা বলছেন, টানা ছুটি থাকায় আমদানি বন্ধ ছিল ও সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বেড়েছে।
হিলি বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন,
“‘ঈদের আগে আলু, পেঁয়াজ রসুনের সরবরাহ বেশি ছিল, তাই দামও কম ছিল। টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। গত দিন থেকে পাইকারী বাজারে দাম বেশি। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি”।
আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“দেশীয় আলু বেশির ভাগ ষ্টোর করেছেন কৃষকরা। আমদানিকৃত আলুর স্বাদ ভালো না হওয়ায় আমরা আমদানিকৃত আলু বিক্রি করি না। যদিও দুই একজন নিয়ে আসে। তাও আবার বিক্রি করতে সময় লাগে”।
টানা ৬ দিন ছুটি শেষে গতকাল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে ২৭টি ভারতীয় ট্রাকে ৬৯৩ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত আলু বন্দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। চলতি মাসের ৩০ তারিখে আমদানির অনুমতি (আইপি) মেয়াদ শেষ হবে।