কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত

এবার পাকাপোক্ত সিদ্ধান্তে সরে যাচ্ছে কারওয়ানবাজার। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে কিচেন মার্কেটসহ আড়ত ভাঙার কাজ। ঢাকাকে স্মার্ট করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আশ্বাস, গাবতলীতে করে দেয়া হবে ভোক্তা সহায়ক বাজার অবকাঠামো। তবে নগর পরিকল্পনাবিদদের ধারণা, যে কারণ দেখিয়ে সরানো হচ্ছে কারওয়ানবাজার; সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে না রাজধানীবাসীর। এর পরিবর্তে বেড়ে যাবে পণ্যের দাম।

কারওয়ার বাজারে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বহু বছর যাবৎ রোজগার করে নিজেদের সংসার চালিয়ে আসছেন তাদের ভয় এখানকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে গেলে কী তুলতে পারবেন তার পাওনা। তাদের সবারই এমন আশঙ্কা।

ডিএনসিসি বলছে, শহর নষ্ট করছে এই বাজার। স্থানান্তরের পর এখানে তৈরি করা হবে স্মার্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন,

“ঢাকা শহরের যানজট কমাতেই মূলত কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ স্থানে স্মার্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করা হবে”।

স্থানান্তর মানতে রাজি আছেন ব্যবসায়ীরা বটে কিন্তু তাদের ইচ্ছা, কারওয়ানবাজারের মতোই ভোক্তাবান্ধব বাজার কাঠামো। তারা বলেন, নতুন জায়গায় গিয়ে ব্যবসা দাঁড় করাতেও সময় লাগবে। সেইসাথে রয়েছে ব্যাপক লোকসানের শঙ্কাও।

কারওয়ানবাজার সরিয়ে নিলে কতোটা যানজটমুক্ত হবে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র; তা ভাববার বিষয়। তবে এটা নিশ্চিত যে, বাজার সরিয়ে নিলে কর্মহীন হবে হাজারো মানুষ, দাম বাড়বে পণ্যের।

এক্ষেত্রে নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন,

“কারওয়ান বাজারে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হলেও কিন্তু যানজট কমবে না। উল্টো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি কর্মহীন হবেন মানুষ”।