https://www.somoyerdarpan.com/
1520
sylhet
প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৫
গত ৩১শে মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৯০ ভাগ টিনসেডের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় সবক’টি টিনের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের এক একটি শিলা পড়ে সবক’টি টিনের ঘর ফুটো হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমি। এ ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকেই। অনেক পথচারী শিলাবৃষ্টির সময় শিল পড়ে মাথা ফেটে আহত হয়েছেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর, শরীফগঞ্জ ও লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন ছাড়া গোলাপগঞ্জ সদর, বাঘা, ফুলবাড়ী, আমুড়া, লক্ষ্মীপাশা, বাদেপাশা, ঢাকাদক্ষিণ ও বুধবারীবাজার ইউনিয়ন এবং গোলাপগঞ্জ পৌরসভার প্রায় সবকটি ঘরে শিলা পড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে। যার কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকে টাকার অভাবে এখনো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে টিনের অতিরিক্ত দাম।
সরেজমিনে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, অনেকের ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় জ্বলেনি চুলো। মাহে রমজানের সেহেরি ও ইফতার অস্থায়ী চুলা তৈরি করে কোনোমতে রান্না করছেন।
পৌর এলাকার নুরুপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তারেক আহমদ জানান, “আমার এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের ঘর টিনের। শিলাবৃষ্টিতে তাদের টিন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। অনেকের ঘরে খাবার নেই। ঘরে পানি থাকায় রান্নাও করা যাচ্ছে না”।
মানুষের এ দুরবস্থায় অনেকেই আবার সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইউপি সদস্য তারেক আহমদ জানান, আমার এলাকায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম পরিদর্শনে এসে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এলাকার কয়েকটি পরিবারকে কিছু সহায়তা করেছেন। এদিকে শিলাবৃষ্টির পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নিজে পরিদর্শন ও করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে ১০০ বান টিন বিতরণ করেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় নগদ অর্থ সহায়তা করছেন।
এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, সরকারি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তিনি এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। শুধু গোলাপগঞ্জ নয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা বিয়ানীবাজারের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নও শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। এসব এলাকায় জরুরিভিত্তিতে সরকারি সহযোগিতা পাঠানোর আবেদন জানান সকলে।