https://www.somoyerdarpan.com/
1505
bangladesh
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৮
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে খাবার কমে আসছে। খাবারের এ ঘাটতি পূরণে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ তীর থেকে খাবার আনতে শুরু করেছে দস্যুরা। জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন সূত্র বুধবার এমন খবর নিশ্চিত করেছে।
১২ মার্চ জলদস্যুরা জাহাজটি জিম্মি করার সময় নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল। এরই মধ্যে জিম্মিদশার ১৬ দিন পার হয়েছে। এ সময় নাবিকদের পাশাপাশি দস্যুরাও জাহাজের খাবারে ভাগ বসিয়েছিল। জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন,
“দস্যুরা নিজেদের স্বার্থেই খাবার নিয়ে আসে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজেও তেহারিজাতীয় খাবার নিয়ে আসার খবর পাওয়া যায়”।
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতে যাওয়ার পর ভারত মহাসাগরে দস্যুদের কবলে পড়ে। যাত্রাপথে সময় লাগতো অন্তত ১৫ দিন। সে হিসাবে জাহাজে খুব বেশি দিনের খাবার মজুদ ছিলো না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাহাজটি এখন গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে দস্যুরা। জাহাজটির অদূরে ২১ মার্চ একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী।
দ্রুত সমঝোতার আশা রয়েছে। সেজন্য জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছে। দস্যুদের সঙ্গে দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছানোর আশা করছে মালিকপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন,“দস্যুদের সঙ্গে দ্রুত সমঝোতা করে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের তৎপরতা চলছে”।
নাবিকদের একজন নেতা জানান,“সমঝোতা কখন হবে তা দস্যুদের ওপর নির্ভর করে। কারণ তারা তাদের দাবিতে অনড় থাকলে সমঝোতায় পৌঁছাতে দেরি হবে”।
তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত সমঝোতায় পৌছানো সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।