https://www.somoyerdarpan.com/

1502

bangladesh

পাইকারীতে পেয়াঁজ, তেলের দাম কমলে এর বিপরীতে দাম বেড়েছে খুচরা পর্যায়ে

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৪:২০

ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির খবর হতে পারত পেঁয়াজ, ছোলা ও খেসারির ডালের দাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে পাইকারিতে পণ্যগুলোর দাম কমলেও এর কোনো প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। যার ফলে বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে ভোক্তাকে।

নিয়মমাফিক কৃষক থেকে আড়ত বা পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে পণ্য আসে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। সেই পণ্য বাজারে নিয়ে ভোক্তাদের কাছে পৌছে দেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এটিই বাজারে চিরচেনা নিয়ম। পাইকারী পর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়লে-কমলে তার প্রভাব পড়ে খুচরা পর্যায়েও।

তবে বুধবার (২৭ মার্চ) মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেট সহ বেশকয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়,পাইকারিতে পেঁয়াজ, ছোলা ও খেশারির ডালসহ বেশি কিছু পণ্যের দাম কম থাকলেও তার প্রভাব নেই খুচরা বাজারে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেটে পেয়াঁজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। যেখানে পাইকারী পর্যায়ে প্রতি কেজির দর ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। এর অজুহাত হিসেবে ব্যবসায়ীরা ভারতের রফতানি নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন।

সেইসাথে যেখানে রমজানের শুরুতে খেসারির প্রতিকেজির দাম ছিল ১৫০ টাকা করে এখন তা ৩০ টাকা কমে দাড়িঁয়েছে ১১০ টাকায়। কিন্তু খুচরায় তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।

আবার ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে এখন দাড়িয়েছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়।

এক্ষেত্রে পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান,

“বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ রয়েছে। পাশপাশি চাহিদা কিছুটা কমায় দামও কমছে।”

কিন্ত এর বিপরীতে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি,

“পাইকারি পর্যায় থেকে পর্যাপ্ত পণ্য না পাওয়ায় দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ছে না। তাছাড়া আগের বাড়তি দামে কেনা পণ্য বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে”।

ক্ষুদ্ধ ক্রেতাদের অভিযোগ,

“মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এগারো মাস বসে থাকে শুধুমাত্র রমজানে অধিক মুনাফা লুটে নেয়ার জন্য,যা দেখার কেউ নেই”।