https://www.somoyerdarpan.com/
1484
health
প্রকাশিত : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৪:১০
ইফতারের সময় আমাদের পেট একদমই খালি থাকে। আমরা অনেকেই না বুঝে খালি পেটে ভাজাপোড়া, ভারি মসলাযুক্ত খাবার খালি পেটে ভাজাপোড়া, ভারি মসলাযুক্ত খাবার খাই। যার ফলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। আবার হতে পারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও। সে জন্য ইফতারে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় ওপরের দিকে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফল। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য ও স্বল্প খরচে পাওয়া যায় কলা। অধিক পুষ্টি ও কম সময়ে শরীরে শক্তি জোগাতে কলা অত্যন্ত কার্যকরী। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম। তাই জেনে নেয়া যাক ইফতারে কলা খাওয়ার উপকারিতা:
১) পেট পরিষ্কার রাখে:
হজমে সমস্যা হলে শরীরে অস্বস্তি হয়। তাই পেট পরিষ্কার থাকা খুবই জরুরি। একটি কলায় প্রায় ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে যা ভালো হজমও পেট পরিষ্কার রাখে। তাই ইফতারে নিয়মিত কলা খাওয়া জরুরী।
২) শরীরে শক্তি বাড়ায়:
সারাদিন রোজা রাখার ফলে ইফতারের সময় আমাদের শরীর খুব ক্লান্ত থাকে। ক্লান্তি দূর করে দ্রুত শরীরে শক্তির সঞ্চার করে কলা। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়।
৩) হাড় মজবুত রাখে:
হাড়ের যেকোনো ধরনের ক্ষতি আপনাকে দীর্ঘদিন ভোগাতে পারে। বয়সজনিত কারণ ছাড়াও নানা কারণে আমাদের হাড় ক্ষয় হয়। কলায় থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের সমস্যায় বিশেষ উপকারী। তাই রোজায় শরীরের জয়েন্টে ব্যাথাসহ হাড়ের নানা রকম জটিলতা থেকে বাঁচতে চাইলে ইফতারে নিয়মিত কলা খান।
৪) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী।
৫) রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে:
কলা দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ। হজমের সময়, দ্রবণীয় ফাইবার তরলে দ্রবীভূত হয়ে জেল তৈরি করে। এটি একটি কলার স্পঞ্জের মতো টেক্সচারেও অবদান রাখতে পারে।
৬) ওজন কমাতে সাহায্য করে:
গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কলার গুরুত্ব অপরিসীম। কলায় তুলনামুলকভাবে কম ক্যালরি থাকে। কলার বেশ কয়েকটি গুণ রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৭) হৃদযন্ত্র ভালো রাখে:
কলা পটাশিয়ামের একটি বড় উৎস। এছাড়া পটাসিয়াম একটি খনিজ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ও রক্তচাপ ব্যবস্থাপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুকি কমায়।