নরসিংদীতে পাইকারি কাপড়ের হাটে আগুন

দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারি হাট নরসিংদীর শেখেরচর বাজারে (বাবুরহাটে) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অন্তত আটটি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে মার্কেটের ৩২টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব দোকানে জাজিম, তোষক ও পর্দা তৈরীর কাপড় ও ‍ছিল।

রোববার (১৭ মার্চ) ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে ওঠে ধ্বংসস্তূপ। চারিদিকে কাপড়ের পোড়া গন্ধ। পোড়া কাপড় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করছে ব্যবসায়ীরা কতটুকু অবশিষ্ট আছে! সেসব কাপড় পিকাপভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবশিষ্ট কাপড় বাঁচানো যায় কি না; সেই সম্ভাবনায়।

শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৮টি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

হাটের ব্যবসায়ী, বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। তবে বৃহস্পতিবার ও রোববার অর্ধবেলা পাইকারি এই হাটে বেচাকেনা চলে। ছোট বড় প্রায় পাঁচ হাজার দোকান রয়েছে এই হাটে। ঈদকে সামনে রেখে প্রায় প্রত্যেক দোকানেই প্রচুর কাপড় তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার রাতে হঠাৎ জিয়া মার্কেটে গলিতে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই মার্কেটের ৩২টি দোকানে। খবর পেয়ে দোকান মালিকরা লোকজন নিয়ে মালামাল সরানোর চেষ্টা ও আগুন নেভানোর কাজে নামেন।

জিয়া মার্কেটের মালিক মো. কামরুজ্জামান বলেন,

“এ মার্কেট মোট ৩২টি দোকানে জাজিম, তোষক, কাভার ও পর্দাসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের বেচাকেনা হতো। প্রায় প্রতিটি দোকানে গড়ে আনুমানিক ২০ থেকে ৪০ লাখ টাকার কাপড় ছিল। আগুনে সবই পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা”।

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিমুল মো. রফি বলেন,

“খবর পেয়ে মোট সাতটি ইউনিটের প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় ৩২টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”