https://www.somoyerdarpan.com/

1434

bangladesh

দালাল চক্রের দৌরাত্নে অসহায় উপকুলের লবণ চাষিরা

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩২

জমি থেকে বাজার পর্যন্ত সবখানেই রয়েছে এই মধ্যস্বত্বভোগী। পুরো মৌসুম জুড়েই দালালদের কাছে অসহায় থাকতে হয় উপকূলের লবণ চাষিদের।জমি থেকে, পলিথিন কেনা ও লবণ বিক্রি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এই চক্রের হাতে। লাগাম টানতে সরকারের সহযোগিতা চান তারা।এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের তালিকা করে প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার উপকূলে তীব্র গরমে লবণ উৎপাদনের জন্য কালো ত্রিপল বিছিয়ে মাঠ তৈরী করেন চাষিরা।এর ভিতর পানি জমিয়ে তা শুকানোর পর তৈরি হয় লবণ।এ উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়ায় জড়িত প্রান্তিক চাষিরা।

তবে চাষিরা নানাভাবে দালালদের শোষণ শিকার হচ্ছেন।জমি বর্গা থেকে ত্রিপল কেনা এবং শেষে লবণ বিক্রি সবকিছুই চক্রের নিয়ন্ত্রণে। যা থেকে পরিত্রাণ চান চাষিরা।

তাদের অভিযোগ,প্রতি মণ লবণে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিশন কেটে নিচ্ছে দালাল চক্র।এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।

চলতি মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে প্রতিমণ লবণ বিক্রি হয়েছে ৪৫০-৫০০ টাকায়।তবে এই টাকার একটি বড় অংশ নীরবে চলে যাচ্ছে দালালদের হাতে। তাই সরকারিভাবে জমি বর্গার মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ ব্যবসায়ী নেতাদের।

কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন,“অতিসত্বর  দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে না আনলে অসহায় হয়ে পড়বেন লবণ চাষিরা। এজন্য জমি বর্গার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া জরুরি।”

এদিকে, তালিকা করে প্রশাসনের মাধ্যমে দালাল চক্রকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিক।

কক্সবাজার বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন,“মিলারদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে লবণ চাষের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এতে কমে আসবে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বলে আশা করা যায়।”