https://www.somoyerdarpan.com/
1428
bangladesh
প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৫
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে সরেজমিনে নৌকায় কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে দেখা যায়, চিনিকলের বর্জ্যের কারণে কর্ণফুলি নদীর পানির রঙ তামাটে বর্ণ ধারণ করেছে। অধিক মাত্রায় পোড়া চিনি পড়ায় এর বিষাক্ত কেমিক্যালে নদীতে হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে উঠছে।টেংড়া, পুঁটি, শিং, মাগুর কাঁকড়া, পোয়া, কুচিয়া, রুই, সাপ ও ব্যাঙসহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণী বিভিন্ন অংশে মরে পড়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয়রা।এর কারণে জীববৈচিত্র্য আরও হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ,অপরিশোধিত চিনি পুড়ে বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেওয়াই হচ্ছে মূলত নদী দূষণের আসল কারণ।
গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাত থেকে কর্ণফুলী,সিবিচ,চরপাড়া হালদা, কালুঘাট মধুরা পর্যন্ত এ রাসায়নিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে। এতে নদীতে অক্সিজেন কমে মাছ মরা শুরু হয়।
স্থানীয় মাঝিরা জানায়,“এস আলম চিনির গুদামের পোড়া রাসায়নিক বর্জ্যের পুরোটাই নদীতে পড়ছে। এতে নদীর প্রায় ৩০০ প্রজাতির মাছ মারা যাচ্ছে। আমাদের দেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এখন নদীতে সবই মরা মাছ ভাসে উঠছে।”এর দ্রুত একটা সমাধান চান স্থানীয় মাঝিরা।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মত,“ চিনির দাহ্য পদার্থ যখন ৩৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকে, তখন বিষাক্ত কেমিক্যালে রূপ নেয়। আর সেখানে পানি মিশানো হলে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন কার্বন তৈরি হয়। যার কারণে কারখানায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। সেই আগুনে অপরিশোধিত চিনি গলে লাভা নদীতে এসে পড়ে। যার ফলে পানি দূষিত হয়ে অক্সিজেন কমে শ্বাস বন্ধ হয়ে মাছ মরছে। একদিকে তো চিনির কেমিক্যালে নদী দূষণ হয়েছে; এছাড়া নদী দূষণের অন্যতম কারণ হলো ১৭টি খালের বর্জ্য ওই নদীতে এসে পড়ছে।”
দুইজন স্থানীয় ব্যক্তি অভিযোগ জানান,“সুগার মিলের গুদামে চিনি পোড়া রাসায়নিক বর্জ্য কর্ণফুলি নদীতে পড়ে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া মিলের গুদাম ফুটো করায় বিষাক্ত বর্জ্য সড়কে এসে পড়ছে। এতে চলাচলে বিঘ্নতা তৈরী হচ্ছে। গুদামের এ দূষিত পানি শরীরে লাগলে চুলকানি ও চর্মরোগও হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।”