https://www.somoyerdarpan.com/
1402
bangladesh
প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৬
ছবি : সংগ্রহীত
বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮০০ থেকে একহাজার রোগী চিকিৎসা নেন। ২৫০ শয্যার বিপরীতে ৩৫০ থেকে ৫০০ জন পর্যন্ত ভর্তি থাকেন নিয়মিত। বিপুল সংখ্যক এই রোগীর জন্য ৫৬টি চিকিৎসকের পদ বরাদ্দ থাকলেও, ৩০টি রয়েছে শূন্য। এরমধ্যে সহকারী পরিচালক, কনসালটেন্ট চক্ষু, অ্যানেসথেশিয়া, সার্জারি ও কার্ডিওলজিরমত গুরুত্বপূর্ণ পদও রয়েছে ফাঁকা।
এছাড়াও নার্সদের ১০৯টি পদের মধ্যে ২৮টি পদ শূন্য যার ফলে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচেছ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের। আবার ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪৪টি পদ শূন্য রয়েছে। যার কারণে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কাজেও ঘটে নানা বিড়ম্বনা।
কচুয়ার হাজরাখালী গ্রামের এক ভুক্তভােগী রবিউল ইসলাম বলেন, “এক সপ্তাহ ধরে বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। কিন্তু শারিরীক তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি বিধায় এখন খুলনা নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা।”
মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা এলাকা থেকে আসা নুরুল আমিন বলেন, “চিকিৎসকরা অত্যন্ত আন্তরিক হলেও সামান্যতম রক্তের পরীক্ষা করা লাগে বাইরে থেকে এজন্য আমাদের খরচ বেড়ে যায়।”
আরেক ভুক্তভোগী বহির্বিভাগে অপেক্ষারত ষাটোর্ধ বৃদ্ধ আবছার মোল্লা বলেন, “চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। শুনলাম চোখের ডাক্তার নেই। পরে ভাবলাম কানের ডাক্তার দেখিয়ে যাই, শুনলাম তাও নেই।”
এভাবে প্রতিদিন অনেক রোগীই ফিরে যান চোখ ও নাক-কান-গলার সমস্যা নিয়ে। এছাড়া হাসপাতালে সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট, থাইরয়ডের পরীক্ষা, ইকো ও সিটিস্ক্যাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের প্রতিদিন যেতে হয় বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।বাগেরহাটের স্বাস্থ্য উপকমিটির আহ্বায়ক বাবুল সরদার বলেন, “ বিগত ১৫ বছরে বাগেরহাটে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। জেলার প্রধান হাসপাতালে একটা সিটিস্কান মেশিন নেই, একটা ইকো মেশিন নেই, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এভাবে চললে জেলার লোকজন কিভাবে সেবা পাবে!”
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, “আমাদের ৫৮টি প্রথম শ্রেণির পদের মধ্যে ৩২টি পদই শূন্য রয়েছে। এছাড়া প্যাথলজিকাল কিছু সংকটও রয়েছে। রোগীর সংখ্যাও বেশি। তারপরও আমরা রোগীদের যথাসম্ভব সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।”তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন,“‘জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।