https://www.somoyerdarpan.com/
1382
bangladesh
প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৭:১৬
গত বছরের ১৩ আগষ্ট চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন।তখন প্রতিকেজি খোলা চিনির দাম ১৩০ টাকা এবং এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩৫ টাকা। তারপর এখন পর্যন্ত দাম কমানো বা বাড়ানোর কোনো ঘোষণা দেয়নি সংগঠনটি।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, পবিত্র রমজান সামনে রেখে এরইমধ্যে বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫ টাকা বেশিতে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনিও। ক্ষেত্রবিশেষে ১৫০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে।
এক বিক্রেতা অজুহাত দেখিয়ে বলেন, ‘‘মোকামে দাম বেশি। আমরা বেশি দামে কিনে এনেছি বিধায় বেশি দামে বিক্রিও করছি।”
এক ক্রেতা হতাশা প্রকাশ করে বলেন,“আমরা আশা করেছিলাম যে নির্বাচনের পর নতুন প্রতিমন্ত্রী এসেছেন। তিনি বিভিন্ন অ্যাকশন নিচ্ছেন। কাজেই আমরা ভালো ফলাফল পাবো। কিন্তু পাচ্ছি না।”
অন্যদিকে,মিষ্টি চিনি যখন ভোক্তাকে ভোগাচ্ছে তিক্ত স্বাদে; তখন বাজার ঘুরে দেখা গেল, রমজানের অন্যতম অনুষঙ্গ বেসনের দাম বছর ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে অন্তত ৪০ টাকা।যা বর্তমানে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। যেখানে গত বছর কেজি প্রতি বেসনের দাম ছিলো ৮০ টাকা।
এ সম্পর্কে এক ক্রেতা জানান,বেসনের দাম বাড়ার তো কোনো কারণ দেখছি না। এটি তো নিত্যপণ্য না শুধু এটি রমজানের বিশেষ পণ্য। তাছাড়া আমরা তো প্রতিনিয়তই বাজার করি। তাই ১০ টাকা বাড়লেও মনে হয় যেন অনেক বেশি দাম বেড়ে গেছে।
তাছাড়া ডালের দামও বেড়েই চলেছে।সরকারি বিপণন সংস্থা(টিসিবি)র পরিসংখ্যান বলছে, বছর ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ আর সর্বোচ্চ সাড়ে ৩৪ শতাংশ বেড়েছে মুগ ডালের দাম। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ছোলার দাম ১১০ টাকা থেকে ১১৫ টাকা, মুগডাল ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা এবং দেশি মসুর ডাল ১৩৫ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।