https://www.somoyerdarpan.com/
1598
bangladesh
প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:১৫
গত সাত বছরে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বেড়েছে সাড়ে তিন ডিগ্রি। গবেষণা সংস্থা ক্যাপসের জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালে রাজধানী ঢাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর তা ৩৬ দশমিক ৯৬। বৈশ্বিক উষ্ণতা সেখানে ভূমিকা রাখলেও স্বেচ্ছাচারী নগর পরিকল্পনাই এর তাপবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
দেশজুড়ে চলমান দাবদাহের মধ্যেই কথিত তিলোত্তমা ঢাকায় কাটা হয়েছে আরও একটি গাছ। যেনো নগরের শীতলতার কফিনে পড়লো আরও একটি পেরেক।
তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে শাহবাগ এলাকায় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস মাপা হলেও ঠিক তার কয়েকশ’ গজ সামনে রমনা পার্ক এলাকায় গাছের নিচে দাঁড়ালে একই তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র বলছে ওই এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এজন্য বৈশ্বিক উঞ্চতাসহ নানা অজুহাতে তাপমাত্রা বাড়ার কারণ দেখানো হলেও একটু সবুজায়ন যে স্বস্তি এনে দিতে পারে তা কিন্তু প্রমাণিত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গড় তামাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণে ৩৩ দশমিক ৫০ । সাত বছর বাদে চলতি বছর উত্তরে গড় তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩৮ আর দক্ষিণে ৩৬ দশমিক ৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ৫১ ডিগ্রি।
এমন দশার জন্য বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় তিনটি ধাপই দায়ী। তবে স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে প্রভাব কিছুটা হলেও কম থাকত।
ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন,
“জলাধার এবং সবুজ গাছ তাপমাত্রাকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করে। কিন্তু যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা নেই। ঢাকায় অন্তত ২০ ভাগ সবুজ থাকা প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ৮ ভাগ।
এ ব্যাপারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন,
“এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই। এতদিন হয়তো আমরা চিন্তা করতাম একটু খালি জায়গা রাখা দরকার, এখন সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা এখন ভাবছি কীভাবে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। সবুজায়ন কীভাবে বাড়ানো যায়”।
তবে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয় বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন খোদ পরিবেশমন্ত্রী।