https://www.somoyerdarpan.com/
1594
international
প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:১৪
ভারতের হাজার হাজার নাগরিক নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি লিখে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস ও মুসলমানদের নিয়ে নির্বাচনী জনসভায় যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। ভারতীয় মুসলমানদের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি আক্রমণ করেছেন। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে তা সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।
গত রোববার রাজস্থান রাজ্যের বাঁশবাড়া ও পরদিন গতকাল সোমবার উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন,
“ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন–সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি–বাঁটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে”।
পর পর দুটি জনসভায় মোদি আরও বলেছেন, তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও তাঁর সরকারের এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। দুই জনসভাতেই মোদি জানতে চেয়েছেন, এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবেন কি না। জানতে চেয়েছেন, তাঁরা কি চান, তাঁদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাঁদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর ইসির কাছে পৌছেছে বিভিন্ন সংগঠনের চিঠি। সেখানে বলা হয়েছে, কংগ্রেস দল, তাদের ইশতেহার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মোদি শুধু নির্জলা মিথ্যাই বলেননি, মুসলমানদের তিনি অনুপ্রবেশকারীও বলেছেন। অসম্মান করেছেন গাদা গাদা সন্তান উৎপাদন করে বলে। আবেদনে তাঁরা বলেছেন, এখনই মোদিকে ভর্ৎসনা করা হোক। তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, যা এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কমিশন করেছে।
ভোট আবহে কী কী করা যাবে না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বেশকিছু নীতিমালা অবশ্য আছে। বলা আছে, জাত, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা বা সম্প্রদায়ের নামে ভোট চাওয়া যাবে না। এমন কিছু বলা যাবে না, যাতে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। সাম্প্রদায়িক বা জাতিগত সংঘাতের পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণের জন্য কমিশনের অনেককিছু করার থাকলেও বিজেপি’র পক্ষে কমিশন কিন্তু অদ্ভুতভাবে নির্বিকার ও নিরুত্তর। এত গুরুতর মন্তব্যের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, কোনো মন্তব্য পর্যন্ত তারা করেনি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন আগামী শুক্রবার।