https://www.somoyerdarpan.com/
1575
bangladesh
প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০৬
তীব্র এ গরমে জনজীবনে হাঁসফাস অবস্থা। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে চাহিদা বেড়েছে ডাব, তরমুজসহ অন্যান্য রসালো ফলেরও। আর সেইসঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ফলের দামও।
কয়েকদিন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের প্রতি পিস ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর মাঝারি ও বড় সাইজের ডাবের জন্য গুনতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
রমনাপার্ক এলাকার এক ডাব বিক্রেতা জানান,
“তীব্র গরমে বেড়ে গেছে ডাবের চাহিদা। বাজারে ডাবের কোনো সংকট নেই। তবে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তাই দামও কিছুটা বেশি”।
ডাবের সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে সেই বিক্রেতা বলেন,
“তীব্র গরমে চাহিদা মেটাতে গাছ থেকে ছোট ছোট ডাব এখন পেড়ে ফেলা হচ্ছে। এতে গরম না কমলে সামনে ডাবের সংকট দেখা দিতে পারে। ফলে দাম আরও বাড়তে পারে”।
রাজধানীর কদমতলীর এক পাইকারী ডাব বিক্রেতা বলেন,
“গত বছর ডেঙ্গুর সময়ও পাইকারিতে ডাবের দাম এতো বাড়েনি। তবে এবার গরম বাড়ায় ডাবের চাহিদা প্রচুর বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় ডাব কম থাকায় দাম বাড়ছে”।
একই বিক্রেতা আরও বলেন,
“গ্রামেও বেড়ে গেছে ডাবের দাম। আগে যেখানে ছোট সাইজের ডাব ৩০-৪০ টাকায় পাওয়া যেত, সেটি এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ। সব মিলিয়ে কয়েকবার হাত বদলের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সেটি গিয়ে ঠেকছে অন্তত ১০০ টাকায়”।
এক ভোক্তা অভিযোগ করেন,
“গত বছর ডেঙ্গুর সময় চাহিদাকে পুঁজি করে দাম বাড়ানোর খেলায় মেতেছিলেন ডাব ব্যবসায়ীরা। আর এবার গরমকে মেতেছেন গরমকে পুঁজি করে। তাদের এ অসাধু সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে পকেট ফাঁকা হবে সাধারণ ক্রেতাদের”।
ঢাকা মেডিকেলে আসা একজন ব্যক্তি জানান,
“ডাবের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি পথ্য হলেও দিন দিন এর দাম বাড়ছে। ফলে সবার জন্য ডাব খাওয়া এখন বিলাসিতা হয়ে যাচ্ছে”।
ডাবের বাজারের যখন এ অবস্থা, তখন অস্থির অন্যান্য ফলের বাজারও। রজমানের তুলনায় দাম সামান্য কমলেও এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ ফল। বয়কটের ভয়ে বাজারে কমে যাওয়া তরমুজের দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।