https://www.somoyerdarpan.com/

1564

bangladesh

ঈদযাত্রায় সড়কে বিপুল পরিমাণ প্রাণ ঝরার তালিকা প্রকাশ করল যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:২০

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, এবারের ঈদ যাত্রায় বিগত ঈদের চেয়ে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, নিহত ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৫.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।  এতে বিদায়ী ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার পেছনে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,

“পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছে। নৌপথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও ১৪২৪ জন আহত হয়েছে”।

এসব দুর্ঘটনার বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। দুর্ঘটনার কারণসমূহ হলো:

১) দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল।

২) জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো।

৩) জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকরা এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

৪) মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা।

৫) উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং

৬) অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

 

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশকিছু উপায় অবলম্বন করার সুপারিশও দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো:

১) জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা।

২) জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা।

৩) দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান।

৪) ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা।

৫) সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।

৬) মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা।

৭) সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা।

৮) উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

৯) মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং

১০) মেয়াদোর্ত্তীন গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেয়া ইত্যাদি।