https://www.somoyerdarpan.com/

1544

bangladesh

বিগত কয়েক বছরের অপরাধের মধ্যে বেড়েছে অবৈধ পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩৪

দেশে ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোক্তা অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযান এবং গ্রাহকদের অভিযোগ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অপরাধের শীর্ষে রয়েছে অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ।

এসব কাজে অপরাধ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৮৯টি। একইভাবে অপরাধের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা। এ ধরনের অপরাধ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৭৯টি এবং এসব অপরাধের জন্য জরিমানা করা হয়েছে ২০ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ৩৩০ টাকা।

ভোক্তা অধিদপ্তর তাদের পরিচালিত অভিযান ও ভোক্তাসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনের বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭ ধরনের অপরাধ পেয়েছে। এর মধ্যে অপরাধের সংখ্যা বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ। এছাড়াও অপরাধের তালিকায় আরও রয়েছে- ১) মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করা,২)  নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখা,৩) প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা না দেওয়া, ৪) খাদ্যে ভেজাল মেশানো, ৫) ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি, ৬) পরিমাপে বা পরিমাপক ফিতায় বা অন্য কিছুতে কারচুপি এবং ৭) অবহেলার মাধ্যমে সেবাগ্রহীতার ক্ষতি করা ইত্যাদি।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে দেশের ভোক্তাসাধারণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে অর্থনীতিতে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। যেসব ব্যবসায়ী অবৈধ প্রক্রিয়া বা নকল পণ্য তৈরির সঙ্গে জড়িত, তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা জরুরী।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত সাড়ে ১৪ বছরে ৭১ হাজার ৮৯৬টি অভিযান পরিচালনা করে। এর মধ্যে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার ৫৫৪টি প্রতিষ্ঠানকে।

গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ হাজার ১০৫টি প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। আর গ্রাহকদের অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়নি ৩ হাজার ৮১৭ জনের।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন,

“আমাদের শাসনব্যবস্থার জন্য নকল পণ্য তৈরির এ কাজ হচ্ছে। এর জন্য আইনের সঠিক প্রয়োগ না হয়ে বাছাইকৃতভাবে আইনের প্রয়োগ হচ্ছে। যেমন ধরেন- যখন একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগল তখন হাজার হাজার রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে পয়সা কামানো হলো। এভাবে আইনের প্রয়োগ হলে তা হবে না। এটি হতে হবে নিয়ম অনুযায়ী এবং ভোক্তা ও শিল্পবান্ধব”।

তিনি আরও বলেন,

“পণ্যে ভেজাল মেশালে বা নকল করলে অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি হয়। ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে উৎপাদনশীলতা ও কর্মদক্ষতা কমে যায়”।