https://www.somoyerdarpan.com/

1517

bangladesh

গ্রীষ্মের শুরুতেই সারাদেশে লোডশেডিং বেড়েছে

প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৪

দুই বছর ধরে গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিংয়ে ভুগছে মানুষ। এবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এরই মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের কোথাও কোথাও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে চাহিদা বাড়লেও জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। 

বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্র বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। গতকাল বুধবার দিনের বেলায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ২ হাজার মেগাওয়াট। যা পরে লোডশেডিং দিয়ে পূরণ করা হয়।

পিডিবি’র সদস্য জানান, চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। কয়লা থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদন করা হচ্ছে। এলএনজি টার্মিনাল চালু হলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে বিদ্যুৎ খাতে। তেলচালিত কেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেন।

বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। দফায় দফায় বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। এরপরও প্রতিবছর বাড়ছে সরকারের ভর্তুকি। তারপরও নিশ্চিত হয়নি বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ।

ঢাকার বাইরে শহর এলাকায় লোডশেডিং তুলনামূলক কম বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পিডিবি, নেসকো ও ওজোপাডিকো। ঢাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকায় লোডশেডিং কম হয়। ঢাকাসহ অধিকাংশ শহর এলাকা লোডশেডিংয়ের বাইরে রাখা হয়েছে। বাকি গ্রাম এলাকায় সমহারে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে না। এতে কোনো কোনো গ্রামে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা লোডশেডিং করতে হয়। যেসব অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা বেশি, সেখানে সরবরাহও বেশি। সেজন্য দেখা যায়, বরিশালের গ্রাম এলাকায় লোডশেডিং নেই।

লোডশেডিং এর ভোগান্তিতে রয়েছে সিলেট, লক্ষীপুর, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ জেলাসমূহ।

চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারার কারণ-কয়লা থেকে উৎপাদন সক্ষমতা সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট। সক্ষমতার প্রায় পুরোটা ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল বকেয়া থাকায় নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা আছে। বেসরকারি খাতের তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া জটিলতাও কাটেনি। জ্বালানি তেল আমদানির জন্য নিয়মিত ডলার পাচ্ছে না তারা। তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা আছে প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট। দিনের বেলায় এক হাজার মেগাওয়াটের কম উৎপাদন করা হচ্ছে। রাতে উৎপাদন হচ্ছে সর্বোচ্চ তিন হাজার মেগাওয়াট। কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাস আমদানি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। তবে সেটি শীঘ্রই চালু হওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।