https://www.somoyerdarpan.com/
1363
bangladesh
প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৫:১২
মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়,এ জেলায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষ ও রফতানি হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে ।এবং এখানে বছরে প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন কাকড়াঁ। এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি ও হচ্ছে।২০২১-২২ সালে অর্থবছরে এটি রফতানি হয় ৮০২ মেট্রিক টন, যার রফতানি মূল্য ১ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ডলার এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ৬২২ মেট্রিক টন, যার রফতানি মূল্য ৮৬ লাখ ৯৮৪ ডলার। এর আগেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে নরম কাঁকড়া রফতানি হয়েছে ৫৬৭ মেট্রিক টন, যার মূল্য ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার ডলার।সুন্দরবনের ওপর নির্ভর করে উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ওঠেছে হাজার হাজার সফটসেল কাঁকড়ার খামার। তবে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমের কারণে প্রতি বছর ৫ মাসের অধিক সময় সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন চাষিরা। তাই সংশ্লিষ্টরা জানান,বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে সুন্দরবন নির্ভরতা কমিয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে হ্যাচারিতে কাঁকড়া পোনা উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলতেছে। সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার নোলা পানিতে চিংড়ি চাষের পাশাপাশি সফটসেল কাঁকড়া চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।সুন্দরবনসংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগরে ৩২০ হেক্টর জমিতে কাঁকড়ার চাষ হয়ে থাকে সেখানে গত অর্থবছরে দুই হাজার মেট্রিক টন সফটসেল’ কাঁকড়া ও হার্ডসেল কাঁকড়া উৎপাদন হয়। সবই বিদেশে রফতানি করে অর্জিত হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। চাষিরা জানান, অল্প জমিতে কাঁকড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। কাঁকড়ার চাষ করে তাদের সংসারে সফলতা এসেছে তাই কাঁকড়া চাষে আগ্রহী তারা।জেলার মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, “সুন্দরবনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে হ্যাচারিতে কাঁকড়া পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। তাতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে তেমনি , তেমনি কর্মসংস্থান ওবাড়বে”