https://www.somoyerdarpan.com/

1344

bangladesh

কুল চাষে এইবার তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৪:৫৬

ছবি : সংগ্রহীত

ফেনীতে যদিও প্রথমেই ধান-সবজির জায়গায় কুল চাষে অনেকেই লোকসানের আশঙ্কায়  পা বাড়াতে চাননি  কিন্তু এইবার লাভ পেয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুল চাষ। সেই সাথে চলতি মৌসুমে অর্ধ কোটি টাকার কুল বিক্রির আশা করছেন চাষিরা। গত দশ বছরে জেলাটিতে কূল আবাদের পরিমাণ বেড়েছে ৬ গুণ আর উৎপাদন বেড়েছে ২১ গুণেরও বেশি।ফেনী জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে,

চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৯০ হেক্টর জমিতে কুলের আবাদ হয়েছে

বাজারে প্রতিকেজি কুল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়। লক্ষ্যমাত্রার আলোকে উৎপাদন হলে এর মূল্য দাঁড়াবে অর্ধকোটি টাকারও বেশি।এরমধ্যে জেলার শহরতলীর আমিন বাজার এলাকায় মাসুদ, জাহিদ ও রনি নামে স্থানীয় তিন যুবক মিলে জান্নাত অ্যাগ্রো নামে একটি কৃষি প্রকল্পে সাথি ফসল হিসেবে পাঁচ একর জমিতে সাত শতাধিক গাছের কুলের বাগান করেছেন। চারা রোপণের এক বছর পরই গত বছর এ বাগান থেকে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার কুল বিক্রি হয়েছিল প্রতিগাছে ফলন হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ কেজি।এতে লাভ হবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা।

এ তিন উদ্যোক্তা জানান,“ কুল আবাদে খরচ তেমন বেশি নেই, একটু যত্নশীল হলে অনায়াসে কুল চাষাবাদ করে লাভবান হওয়া যায়”।

শুধু এ বাগান নয়, জেলার সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের কালিদাস পাহালিয়া নদী তীরের কে পাহালিয়া অ্যাগ্রোতেও ১০ একর জমিতে এক হাজারের বেশি গাছের বাগান করেছেন স্থানীয় কয়েকজন উদ্যোক্তা। বিগত বছর তারা ১০ লক্ষাধিক টাকার কুল বিক্রি করলেও এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।বাগানটির উদ্যোক্তারা জানান, নদী পাড়ের খালি জমিকে কাজে লাগিয়ে তারা বাগানটি করেছেন এবং ফলনও মিলছে ভালো। দুই বছর মিলিয়ে ২৫ লাখ টাকার বেশি ফলনের আশা করছেন তারা।কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ফেনী জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর বলেন, ‘ফেনীর মাটি ও সামগ্রিক পরিবেশ কুল আবাদের জন্য বেশ উপযোগী।সরকারিভাবে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের আধুনিক প্রযুক্তি, জাত নির্বাচন ও উন্নয়ন সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ জেলায় কুলের আবাদ আরও বেশি হতে পারে। কুল চাষ এ জনপদের জন্য কৃষিতে ব্যাপক সম্ভাবনাময়।