https://www.somoyerdarpan.com/
1319
bangladesh
বেশির ভাগ সময় স্টেশনে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। যাত্রীরা বলছেন, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। সম্প্রতি মতিঝিল স্টেশনে।
প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৫:২৬
ছবি : সংগ্রহীত
মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন থেকে ট্রেনে উঠতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়।ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দিনে-রাতে মেট্রোরেল চালুর পর তাতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা চলাচল করছেন। বিশেষ করে সকালে ও সন্ধ্যায় ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। মধ্যবর্তী কিছু কিছু স্টেশন থেকে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ছে।
যাত্রীরা বলছেন, মেট্রোরেল চলাচলে গতি এনে দিয়েছে। তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
ঢাকায় মেট্রোরেল–ব্যবস্থা নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সাড়ে তিন মিনিট পর পর ট্রেন চালানোর সক্ষমতা আছে তাদের। এখন চলছে ১০ থেকে ১২ মিনিট বিরতিতে। পুরোদমে এবং বাড়তি সময় ট্রেন চালাতে বাড়তি জনবল দরকার। জনবলের প্রশিক্ষণ দরকার। সেখানে ঘাটতি রয়েছে।
ঢাকায় মেট্রোরেলের লাইন-৬ (উত্তরা-মতিঝিল) প্রকল্প নেওয়ার সময় পরিকল্পনা করা হয় যে, সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এর জন্য হিসাব করে লাইন-৬–এর অধীনে ২৪ সেট ট্রেন কেনা হয়।
বর্তমানে সকাল আটটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করছে। ব্যস্ত সময় অর্থাৎ পিক আওয়ারে ১০ মিনিট পরপর এবং বাকি সময় ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেলে এখন গড়ে প্রতিদিন আড়াই লাখ যাত্রী যাতায়াত করছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত মেট্রোরেলে প্রায় সোয়া দুই কোটি যাত্রী যাতায়াত করেছে। প্রতিটি ট্রেনে গড়ে যাত্রী চলাচল করে ১ হাজার ৬৫০ জনের মতো। তবে ব্যস্ততার সময়ে অনেক বেশি যাত্রী হয়।
মোট যাত্রীর অর্ধেক স্থায়ী পাস ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। এ পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার কার্ড বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গত ২০ জানুয়ারি দিনে-রাতে চালুর পর ৬৩ হাজার কার্ড বিক্রি হয়েছে।
মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেন চলছে ছয়টি কোচ নিয়ে। দুই প্রান্তের দুটি কোচকে বলা হয় ট্রেইলর কার। ছয় কোচের একটি ট্রেনে বসে ও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে মোট ২ হাজার ৩০৮ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারার কথা। অবশ্য যাত্রীরা বলছেন, প্রবীণদের পক্ষে ব্যস্ত সময়ে ট্রেনে ওঠা অনেকটা অসম্ভব। নারীরা যদি ব্যস্ত সময়ে তাঁদের জন্য বরাদ্দ কামরার বাইরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অন্য কামরায় ওঠেন, তাহলে গাদাগাদির মধ্যে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।