https://www.somoyerdarpan.com/
3394
international
প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৯
ছবি : সংগৃহীত
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা আকতার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশুল্ক হারের কারণে রপ্তানি কমবে। এর প্রভাবে কর্মসংস্থান কমবে। কর্মসংস্থান কমে গেলে নারী-পুরুষেরা কর্মচুক্তির শিকার হবে।
তিনি বলেন, আশঙ্কা পোশাক শিল্পে নিয়োজিত বিপুল সংখ্যক নারীরা কর্ম হারাবে। এর বিরুপ প্রভাবে দারিদ্র্য ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সাম্প্রতিক শুল্কহার বৃদ্ধিকে ধাক্কা বিবেচনা করে “ওয়েকআপ কল” হিসেবে দেখছে সিপিডি।
সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ২০২৬ সালের নভেম্বর নাগাদ এলডিসিতে উত্তোরণ ঘটবে তখনকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহার মোকাবিলায় বানিজ্যিক সংস্কার জরুরি। এর জন্যে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে দেশের পন্যের বাজার বিপনন ও বিনিয়োগ চুক্তির দিকে মনোযোগ দিতে হবে আহ্বান জানিয়েছেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক।
তিনি বলেন, দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে কর ব্যবস্থাপনা সংস্কার করা দরকার। ৯০ দিন পরে কি হবে আমরা জানি না। যদি ধরে নেওয়া হয় শুল্কহার ১৫ শতাংশই থাকবে তারপরো ২০২৬ এর পরে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে বাংলাদেশকে। সুতরাং এখন থেকে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয় আছে।
বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির জোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শ্রমিকের দক্ষতা বাড়ানো, শিল্প কারখানায় প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পন্যের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে।
বিনিয়োগ ঘিরে ব্যক্তি কেন্দ্রীক নয় বরঙ প্রাতিষ্ঠিক দক্ষতা, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি কমানোর মাধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক স্বক্ষমতা বাড়াতে জরুরি বলেও জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা আকতার।