https://www.somoyerdarpan.com/

2670

sylhet

বিয়ানীবাজারের উন্নয়ন প্রকল্পের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৪১

সরকার পরিবর্তনের পর বিয়ানীবাজারের অনেক কিছু থমকে গেছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজও স্তিমিত হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক সংকট কাটানো ও রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প কাটছাঁট হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে পারে বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেও।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে উপজেলায় বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তবে নানা জটিলতায় স্থানীয়ভাবে সেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। বিয়ানীবাজারের বেশির ভাগ উন্নয়ন প্রকল্পই শেষ হয়নি নির্দিষ্ট সময়ে। তিন বছর মেয়াদ থাকলেও কোনো প্রকল্পে লাগে পাঁচ বছর, কোনোটায় ৭ বছর, আবার কোনোটায় ১০ বছর, তাও অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ করেননি সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক সিলেট শহরের কদমতলী থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন ৪২. ৯৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সিলেট-চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করতে গত ২৪শে জুলাই নোটিশ জারি করা হয়। চলতি বছরে শুরু হয়ে প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।

সিলেট থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের যাতায়াত সহজ করতে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ওই নোটিশে প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনে তালিকা করার কথা উল্লেখ করেন প্রকল্পের পরিচালক খান মো. কামরুল আহসান।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় জমি নির্ধারণ জটিলতায় থমকে আছে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ। বারবার জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এই প্রকল্পের কাজ শুরুই করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পৌর শহরের খাসা এলাকায় মসজিদ নির্মাণের জমি প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ১০তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে তৎকালীন সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও কবে তা শেষ হবে, কেউ বলতে পারছে না। পৌর শহরের খাসায় চলমান টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ আগামী বছর ওই প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল।

শেখ হাসিনা সরকারের টানা মেয়াদে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কিন্তু সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে তিনি সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়েন।

এদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর চর খনন, ৬টি শাখা, উপনদী ও খাল খনন, ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ, নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজসহ বেশ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন আছে। সরকার ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই প্রকল্পগুলোর কী হবে, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু জানাতে পারেনি।

শেওলায় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলমান। এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ। সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে এখনো আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।