https://www.somoyerdarpan.com/

2083

bangladesh

ঈদ শেষে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ফিরছে মানুষ

প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২৪ ১৫:৩৮

ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরছেন মানুষ। ফেরার সময় যানজটের বিরম্বনায় খুব একটা না পড়লেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকার অজুহাতে কাউন্টারগুলো থেকে চাওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কোনো উপায় না পেয়ে যাত্রীরাও বাধ্য হয়ে টিকিট কাটছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় আসার অনেক বাসেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০০-২০০ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরতেও অনেক গাড়িতেই গুনতে হচ্ছে কিছু বাড়তি ভাড়া।

পাটুরিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাট থেকে আধা কিলোমিটার দূরবর্তী পুরাতন ট্রাক টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী গাড়িগুলোতে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। স্বাভাবিক সময় যেখানে নবীনগর ১০০, সাভার ১২০ ও গাবতলী ১৫০/১৮০ টাকা ভাড়া, সেখানে এখন নেওয়া হচ্ছে সাভার-নবীনগর ২০০ ও গাবতলী ৩০০ টাকা করে।

বগুড়া থেকে ঢাকায় ফেরা তাসলিমা বেগম নামের এক যাত্রী গণমাধ্যমকে জানান, এবারের ঈদযাত্রায় তাদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৫০০-৬০০ টাকা। এবার দিতে হয়েছে ১১০০ টাকা। গত সপ্তাহে তিনি বগুড়া গিয়েছিলেন। সেসময়ও ১১০০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়।

শুধু রাজধানীযাত্রায় নয়, দেশের আরও অনেক স্থানে ঈদযাত্রায় বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর বাসভাড়া ৩৫০ টাকা। তবে ঈদের অজুহাতে এখন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবারই থাকে এমন অবস্থা।

চট্টগ্রাম নগরের অলংকার মোড় থেকে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার বাস ছেড়ে যায়। প্রতিটি বাসে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। অনেক যাত্রীই বাড়তি ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ঢাকাগামী প্রতিটি বাসে ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি। কাউন্টারগুলোও জানিয়েছে, ঈদের আগে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বাসের ভাড়া