https://www.somoyerdarpan.com/

1603

bangladesh

এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৬

২০২৫ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে এতদিন থেকে উদ্বেগ ছিল অভিভাবকমন্ডলীর মধ্যে। সেই কারণে এসএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় এসএসসিতে ৫০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা রাখাসহ পাঁচ দফা সুপারিশ প্রস্তুত করেছে সেই কমিটি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ বা গড় ভারিত্ব ৫০ শতাংশ, আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখা। আর পরীক্ষা হবে মোট পাঁচ ঘণ্টার।

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) একটি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি। বৈঠকে এ পাঁচ বিষয়কে নিয়ে সামনে এগোনোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা। আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপস হালনাগাদ করা, চূড়ান্ত মূল্যায়নে সনদ/ট্রান্সক্রিপ্টের সাত পর্যায়ের স্কেলে যোগ্যতা এবং পারদর্শিতার সূচক অভিভাবক ও অংশজনদের অবহিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

এসএসসি পরীক্ষা নেওযার সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।