ইরাকে ইরান সমর্থিত সেনাঘাঁটিতে বিমান হামলা: দায় কে নেবে?

ইরান-ইসরাইলের পাল্টাপাল্টি সংঘাতের মধ্যেই এবার ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্যারা মিলিশিয়া বাহিনীর সেনাঘাঁটিতে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।

পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস নামে ওই প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী ইরানের মদতপুষ্ট এবং প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গঠিত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসো নামের সেনাঘাঁটিতে বিমান থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হিলা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

একটি সূত্র হতে জানা যায়, কারা এ বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ইরাকে অবস্থানরত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইরাকে কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।’

গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটল। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। তবে এই দাবি অস্বীকার করে ইরান।

এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে ইসরাইল এবার কোনো পদক্ষেপ নিলে তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।