খাদ্য অধিদফতরের চাল নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে রাতের আধাঁরেই!

খাদ্য অধিদফতরের চাল রাতের আঁধারে পাটের বস্তা থেকে হয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিকের বস্তা। বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন নামে। স্বল্প আয়ের মানুষের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন কিছু অসাধু লোকজন। একটি চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

দীর্ঘদিন ধরে এ লক্ষ্যে কাজ করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। রাজধানীর বাড্ডায় সেই সিন্ডিকেটের চালের গোডাউনে খাদ্য অধিদফতরের সরকারি চালের বস্তা খুলে চাল প্যাকেটজাত করা হয় প্লাস্টিকের বস্তায়। সেখানে প্রতিটি বস্তার গায়ে নূরজাহান নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লেখা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডার গুদামটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ৯৬ বস্তা খাদ্য অধিদফতরের লোগো সম্বলিত চাল। সেইসাথে ৪৭০ বস্তা নূরজাহান ব্রান্ডের চাল।

কালোবাজারিরা রাতের আধারে খাদ্য অধিদফতরের চালের পাটের বস্তা খুলে তা প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে ভিন্ন নাম দিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। সরকারি গুদামের এক শ্রেণির অসাধু লোকজনের সহায়তায় রীতিমতো হরিলুটের বাজার বসিয়েছে তারা।

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকারি ভর্তুকি দিয়ে কেনা এসব চাল কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার থেকে ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়েছিল বাড্ডার ভাড়া করা গোডাউনে। গত দশ দিনেই প্রায় সাত হাজার বস্তা চাল অবৈধভাবে বাজারজাত করেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন,

“সরকারি খাদ্য অধিদফতরের চাল নিজেদের গোডাউনে নিয়ে এসে বস্তা পরিবর্তন করে বাজারে বিক্রি করছিল নূরজাহান নামের একটি ব্র্যান্ড। অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে”।

এই চক্রের সাথে কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের কোনো লোকের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম।