https://www.somoyerdarpan.com/
1433
international
প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:০৩
গত ৮ই মার্চ(শুক্রবার) সংস্থাটির মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।।দানাদার খাদ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণে সংস্থাটি জানিয়েছে, গেল জানুয়ারির তুলনায় সদ্য সমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে দাম কমেছে ৫ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় যা প্রায় সাড়ে ২২ শতাংশ (২২.৪) কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় ভুট্টার ভালো উৎপাদনের সঙ্গে সমুদ্রপথে স্বাভাবিক গতিতে পণ্য পরিবহনে ইউক্রেনের সবুজ সংকেত ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে পণ্যটির দাম। আর গমের দাম কমতির কারণ হিসেবে বলা হয়,চাহিদা কমের বিপরীতে রাশিয়ার বাড়তি রফতানি।
ভোজ্যতেলের দামও কমেছে ফেব্রুয়ারিতে। বিশ্ববাজারে গত বছরের ফেব্রুয়ারি যে দামে মিলেছে ঔ পণ্যটি গেল ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি হয়েছে তারচেয়ে ১১ শতাংশ কমে। সয়া, সানফ্লাওয়ার আর রাই-সরিষার মতো পণ্যের দাম পড়ে যাওয়ার সুফল পেয়েছেন ভোক্তারা। কিন্তু এর বিপরীতে গত মাসে পাম অয়েলের দাম বেড়েছে কিছুটা।
অন্যদিকে এক বছর আগের তুলনায় দুগ্ধজাতীয় পণ্যের দাম প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ কম থাকলেও জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে ১ শতাংশের কিছুটা বেশি। এর কারণ হিসেবে ধরা হয় চীনে গুঁড়ো দুধের আমদানি বৃদ্ধি; যা প্রভাবিত করেছে ইউরোপের বাজারে দাম বৃদ্ধিকে।
অন্যদিকে গত সাত মাসে দাম নিম্নমুখী থাকার পর গত মাসে বেড়েছে মাংসের দাম।এর কারণ গবাদি পশুর দাম কম তবু চীনে চাহিদা বাড়ার কারণে বেড়েছে শূকরের মাংসের দাম।
অন্যসব পণ্যের দাম যদিও স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে কিন্তু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মিলে বিশ্ববাজারে টানা দু-মাস বেড়েছে চিনির দাম।এফএওর হিসাবমতে গেল বছরের তুলনায় গত মাসে চিনি বেচাকেনা হয়েছে সাড়ে ১২ শতাংশ বেশি দামে।