https://www.somoyerdarpan.com/

1377

international

হাইতিতে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি করা চালে মিলেছে ক্যান্সারের উপাদান সহ বিষাক্ত সব পদার্থ

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৬:৫৪

ছবি : সংগ্রহীত

সাম্প্রতিক সময়ে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় জানা যায়,হাইতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি করা চালে অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম ভারি ধাতুর উপস্থিতি মিলেছে যা কিনা  মরণব্যাধি ক্যানসার এবং হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মেক্সিকো ও জাপানের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চালের শীর্ষ ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে হাইতি।কারণ হাইতির প্রধান খাদ্য হচ্ছে চাল এবং পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র এই ক্যারিবিয়ান দেশটিতে স্থানীয় কোনো বিকল্পের চেয়ে সস্তায় চাল আমদানি করা বেশি সাশ্রয়ী।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, হাইতিতে উৎপাদিত পণ্যের তুলনায় আমদানি করা চালে গড় আর্সেনিক এবং ক্যাডমিয়ামের ঘনত্ব প্রায় দ্বিগুণ বেশি। এমনকি আমদানি করা চালের কিছু নমুনায় এই ধাতুর মাত্রা আন্তর্জাতিক সীমাও অতিক্রম করেছে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যও ঔষধ ডিপার্টমেন্ট(এফডিএ) এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই অনুরোধের সাড়া মেলেনি। আমদানিকৃত যুক্তরাষ্ট্র

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির মোট আমদানি করা চালের প্রায় ৯০ শতাংশই আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এত বেশি পরিমাণ চাল আমদানির কারণ হিসেবে ধরা হয় ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় কম শুল্কে আমদানি এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হওয়া।

মূলত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের চাল ভর্তুকিতে রফতানি করার ব্যবস্থায় সহায়তা করেছিলেন। এই পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে হাইতিতে স্থানীয়ভাবে চাল উৎপাদনের সক্ষমতা নষ্ট হয়েছিলো যার ফলে পরবর্তিতে তিনি সেই পদক্ষেপকে ‘ভুল’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।

লুইজিয়ানা, টেক্সাস এবং আরকানস হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চাল রফতানিকারক রাজ্য। এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিলো ২০২০ সালে। তখন গবেষকরা জানতে পারেন,হাইতিবাসী বছরে গড়ে ৮৫ কেজি চাল খান। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ প্রতিবছর মাত্র ১২ কেজি চাল খায়। যার ফলে হাইতিতে বিশেষত অল্পবয়সী স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দেয়ার অনেক বেশি ঝুঁকিতে পড়েন ।